Home - News Report - প্রেমের ফাঁদে ফেলে নাবালিকাকে সোনাগাছীতে বিক্রি, আটক জায়েদুল ও মেহরানা
এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হলো শহর কলকাতা। শহরের যৌনপল্লি এলাকা সোনাগাছিতে এক কিশোর ছেলে তার কিশোরী বান্ধবীকে ৪০,০০০ টাকায় দেহ ব্যবসায়ী চক্রের কাছে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ভুক্তভোগী নাবালিকার মা একটি নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করার পর, পুলিশ একটি তদন্ত শুরু করে এবং ভুক্তভোগী নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়।এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত কিশোর এবং অপরাধের সাথে জড়িত অন্য দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন এলাকা এবং ছেলেটি একই জেলার ঢোলার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলার পর ছেলেটি তাকে বিয়ে করার ও বেড়াতে যাওয়ার অজুহাতে তার সাথে কলকাতায় যেতে রাজি করায়।
মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর তার মা ঢোলা থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অবিলম্বে একটি তদন্ত শুরু করে এবং অবশেষে তাকে কলকাতার ধর্মতলা থেকে খুঁজে বের করে তাকে উদ্ধার করা হয়। তরুণীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে কিনেছিল জায়েদুল শেখ নামে এক ব্যক্তি এবং মেহরানা খাতুন ওরফে তানিয়া নামে একজন পতিতা যিনি এই ‘ডিল’ করতে সহায়তা করেছিলেন।
মন্দিরবাজারের এসডিপিও বিশ্বজিৎ নস্কর জানিয়েছেন, বিয়ে করার অজুহাতে মেয়েটিকে কলকাতায় নিয়ে আসার পর ছেলেটি তাকে হুগলির আরামবাগের একটি হোটেলে জায়েদুল শেখের কাছে ৪০,০০০ টাকায় বিক্রি করে দেয়। ভুক্তভোগী নাবালিকা পুলিশকে আরও জানায় যে, বালিগঞ্জের একটি হোটেলে এবং আরামবাগ হোটেলে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল যেখানে তাকে বিক্রি করা হয়েছিল। যৌনকর্মী মেহরানা খাতুন মেয়েটিকে বিক্রি করার চুক্তিতে জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। মেয়েটিকে সোনাগাছির যৌনপল্লিতে পতিতাবৃত্তির জন্য বসাতে যাচ্ছিল জায়েদুল।
ভুক্তভোগী নাবালিকা মেয়েটির বক্তব্যের ভিত্তিতে পুলিশ জায়েদুল শেখ ও মেহরানা খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং কিশোর ছেলেটিকে কিশোর বিচার আইনে আটক করা হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এবং পকসো আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
গ্রেফতারকৃত দুই জায়েদুল শেখ ও মেহরানা খাতুনকে মঙ্গলবার কাকদ্বীপের একটি আদালতে পেশ করা হয়েছে। মামলার আরও বিস্তারিত তদন্ত করছে পুলিশ।