Home - News Report - “নবদ্বীপগিরি চলবে না, গলায় তুলসীর মালা কেন, CPM কে ভোট দিবি” – স্বপ্নদীপ যা সয়েছিল
দ্যা বেঙ্গল ট্রিবিউন: স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পিছনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ইকোসিস্টেম দায়ী, এমন সন্দেহ আগে থেকেই ছিল। এবার সেই সন্দেহ দৃঢ় হয়েছে স্বপ্নদীপের বাবার বয়ানে। ইতিমধ্যেই স্বপ্নদীপের ডায়েরি খুঁজে পেয়েছে পুলিশ এবং তদন্ত চলমান। স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুন্ডুর অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনও দায়ী। কিন্তু কীভাবে? সেই প্রশ্নের উত্তরও উঠে এসেছে।
শিল্পী সৌম্য দাসের প্রতীকী প্রতিবাদ।
স্বপ্নদীপের বাবা জানিয়েছেন, প্রথম গ্রেফতার হওয়া বাম নেতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী ছাড়াও আরও বেশ কিছু বাম যুবক এই ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত। এছাড়াও তিনি ডিন অফ স্টুডেন্টস এর নামেও অভিযোগ করবেন বলে জানান। তিনি আরও বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখন আতঙ্কের বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে রয়েছে। আর যেন আতঙ্কের বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে না থাকে।
স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পিছনে কী রাজনৈতিক মদত রয়েছে, খবর ৩৬৫ দিন এর সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কীসের রাজনীতি হয়, কেউ কী জানেন না? ওখানে ঢোকা মাত্রই ওর গলায় তুলসীর মালা কেন, এই প্রশ্নের মুখোমুখি ওকে হতে হয়েছিল, ওর হাতের মাদুলি টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। ওকে সিপিএম (CPM) পার্টির কাগজপত্র দিয়ে যায়। বলে এবার থেকে সিপিএম (CPM) পার্টি তোকে করতে হবে এখানে থাকতে গেলে। ওকে বলেছিল, এখানে নবদ্বীপগিরি চলবে না, এটা রেড ফোর্ট।”
কার্টুনিস্ট ব্রততী মাইতির প্রতীকী প্রতিবাদ।
এর আগে দ্যা বেঙ্গল ট্রিবিউন এর রিপোর্টে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল যে, স্বপ্নদীপের ধার্মিক হওয়া তাকে বামপন্থীদের কাছে আরও বেশি টার্গেট করে তুলেছিল। স্বপ্নদীপের বাবার বয়ানে যা স্পষ্ট হয়েছে। স্বপ্নদীপের বাবা আরও জানিয়েছেন যে, হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার সাথে আলাদাভাবে কথা বলতে চাইছে। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে আলাদা আবার কী কথা, যা বলার পুলিশ কে বলবে, বাড়ির চৌকাঠ পেরোতে দেব না খেদিয়ে দেবো। সবাই জড়িত।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান প্রশাসন বামপন্থীদের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট এবং তাদের অপরাধ ঢাকা দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে, এই অভিযোগ অনেক পুরাতন। কিন্তু স্বপ্নদীপের মৃত্যু এমন সব তথ্য ধীরে ধীরে সামনে নিয়ে এসেছে যে, যার ফলে দীর্ঘ বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান দুরবস্থা ও ছাত্রদের ওপর অত্যাচারের পিছনে যে বামপন্থী ইকোসিস্টেমের সরাসরি বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ততা রয়েছে, তা একপ্রকার পরিষ্কার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমাজবিরোধী সিস্টেমকে বদলাতে হলে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি পক্ষপাতদুষ্ট বামপন্থী প্রশাসনেও আমূল পরিবর্তন আনার দাবী জানিয়েছেন নেটিজেনরা।