বাংলার সেন রাজাদের ইষ্টদেবতা ছিলেন সদাশিব।
আজ পর্যন্ত সেন রাজবংশের যত তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হয়েছে, তার সবগুলিতেই সদাশিবের বিগ্রহ খোদিত রয়েছে দেখা যায়। বিজয়সেন ও বল্লালসেন শৈব ছিলেন। লক্ষণসেন ও তাঁর বংশধরেরা বৈষ্ণব হলেও কুলদেবতা সদাশিবকে পরিত্যাগ করেন নি।
গরুড়পুরাণে (পুৰ্ব্বাৰ্দ্ধ ২৩শ অধ্যায়) সদাশিব বিগ্রহের বর্ণনা এভাবে পাওয়া
“বদ্ধ পদ্মাসনাসীনঃ সিতঃ ষোড়শবর্ষকঃ।
পঞ্চবক্তঃ করাগ্ৰৈঃ স্বৈদশভিশ্চৈব ধারয়ন॥
অভয়ং প্রসাদং শক্তিং শূলং খট্টাঙ্গমীশ্বরঃ
দক্ষৈঃ করেবামকৈশ্চ ভুঞ্জগঞ্চাক্ষসূত্রকং॥
ডমরুকং নীলোৎপলং বীজপুরক মুত্তমং।
ইচ্ছাজ্ঞান ক্রিয়া শক্তিস্ত্রিনেত্ৰোহি সদাশিবঃ।।”
এই বর্ণনা অনুযায়ী, বদ্ধপদ্মাসনে আসীন সদাশিব বিগ্রহের পাঁচটি মুখ ও দশটি হস্ত থাকবে। দক্ষিণ দুই হস্ত অভয় ও বরদ মুদ্রাযুক্ত এবং অবশিষ্ট তিন হস্তে শক্তি, ত্রিশূল ও খট্টাঙ্গ থাকবে। বাম পাঁচ হস্তে সর্প, অক্ষমালা, ডমরু, নীলোৎপল ও লেবুফল থাকবে। তাঁহার পার্শ্বে মনোম্মানীর বিগ্রহ থাকবে।

প্রথম চিত্র: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের নিকটবর্তী তর্পণদীঘি থেকে প্রাপ্ত সেন রাজবংশের ইষ্টদেবতা সদাশিবের রাজমুদ্রা।

দ্বিতীয় চিত্র: তাম্রশাসনে খোদিত সদাশিবের রাজমুদ্রার একটি ডিজিটাল পুনঃনির্মাণ।
লেখা: Temples with Atanu.