দ্যা বেঙ্গল ট্রিবিউন ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের গাড়োয়া জেলার এক মৌলভীর বিরুদ্ধে মাদরাসায় পড়ুয়া ৬ জন নাবালক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের একজনের পরিবার ঝাড়খণ্ড পুলিশের কাছে মৌলভীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ঘটনাটি সামনে আসে। অভিযুক্ত মৌলভী সমরুদ্দিন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তার অপরাধের কথা প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কোইন্দি গ্রামে। এটি ঝাড়খণ্ডের গাড়োয়ার নাগারুনতারি থানায় অবস্থিত। বহু বছর ধরে মৌলভী সমরুদ্দিন গ্রামে অবস্থিত দারুল উলুম সামসিয়া নামে একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করছিলেন।
OpIndia- র রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযুক্ত সমরুদ্দিন তার কক্ষে শিশুদের আমন্ত্রণ জানায় এবং তারপর তাদের মাধ্যমে ম্যাসাজ করানোর আড়ালে তাদেরকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, তিনি তিন শিশুকে তার ঘরে ডেকে পাঠান। এদের মধ্যে দুজনকে সে রুমের বাইরে পাহারায় দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। ঘরের ভেতর থেকে তালা লাগানোর পর তৃতীয় ছাত্রকে ম্যাসাজ করতে বলেন। শিশুটি এমনটি করার সময় সমরুদ্দিন তার সাথে অশ্লীল ব্যবহার শুরু করে।
ভুক্তভোগী শিশুটি তখন তাতে বাধা দেয় এবং পরবর্তীতে এই ঘটনার কথা তার পরিবারকে জানায়। শিশুটির পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ নিয়ে মাদরাসায় এলে মৌলভী তার বেশ কয়েকজন সমর্থককে জড়ো করেন বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত মৌলভী তার অনুগামী লোকজন নিয়ে ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের সদস্যদের আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নিহতের স্বজনরা আরও অভিযোগ করেন যে আশরাফ নামে একই মাদ্রাসার আরেক মৌলভী ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করায় তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। পুলিশ শীঘ্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাত্রদের বয়ান রেকর্ড করে, যার ভিত্তিতে অভিযুক্ত মৌলভী সমরুদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে যে, অভিযুক্ত মৌলভী এই পর্যন্ত মাদ্রাসার প্রায় ৬ জন ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের শিকার করেছেন। এদিকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পর অভিযুক্ত মৌলভী পলাতক রয়েছে। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এসডিপিও প্রমোদ কুমার জানান, সমরুদ্দিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।