Home - News Report - স্কুলে যাওয়ার ‘অপরাধে’ বিষ দিয়ে মারা হচ্ছে ইরানি মেয়েদের
দ্যা বেঙ্গল ট্রিবিউন ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে ইরানে বিভিন্ন স্কুলে শত শত ইরানী মেয়ের ওপর বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, তারা মেয়েদের শিক্ষার বিরোধিতাকারী ধর্মীয় গোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তু হতে পারে৷
এই হামলাগুলো এমনই এক সময়ে ঘটছে যখন ইরানের ধর্মীয় শাসকদের জন্য একটি সংকটময় সময়। সম্প্রতি কঠোর ড্রেস কোড প্রয়োগকারী নীতি পুলিশের হেফাজতে একজন তরুণ ইরানী মহিলার মৃত্যুর কারণে কয়েক মাস ধরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছিল দেশটির কট্টরপন্থী সরকার।
ইরানের শিয়া মুসলিমদের পবিত্র শহর কোম থেকে নভেম্বর মাসে অন্তত চারটি শহরের ৩০টিরও বেশি স্কুলে বিষের আক্রমণ শুরু হয়, ফলে কিছু অভিভাবক তাদের সন্তানদেরকে স্কুল থেকে সরিয়ে নেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পোস্টে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কিছু স্কুলছাত্রীকে দেখা যায়, যকরা বমি বমি ভাব অনুভব করছিল এবং শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাহরাম আইনুল্লাহি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বলেছেন, “এই বিষ কোথা থেকে এসেছে তা তদন্ত করা এবং এটি একটি ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপ কিনা তা আমার মন্ত্রণালয়ের আওতার মধ্যে পড়ে না।”
তার ডেপুটি, ইউনেস পানাহি রবিবার IRNA কে বলেছেন, “এটা জানা গেছে যে কিছু লোক স্কুল, বিশেষ করে মেয়েদের স্কুল বন্ধ করতে চায়।”
বরুজার্ড শহরে একটি ছেলেদের স্কুলকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে কট্টরপন্থী দলগুলোকে, যারা তাদের ইসলামের ব্যাখ্যার স্বঘোষিত অভিভাবক হিসেবে কাজ করছে। ২০১৪ সালে, এসিড হামলার একটি সিরিজের পরে লোকেরা ইসফাহান শহরের রাস্তায় নেমেছিল, যা দেশের কঠোর ইসলামিক পোশাক কোড লঙ্ঘনকারী মহিলাদের ভয় দেখানোর লক্ষ্য ছিল বলে ধারণা করা হয়।
বেশ কিছু প্রবীণ আলেম, আইন প্রণেতা এবং রাজনীতিবিদ এই বিষের আক্রমণ বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য সরকারের সমালোচনা করছে। তবে দেশটির সরকারের সাম্প্রতিক দমননীতি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে এবং দেশটির নারীদের মধ্যে শিক্ষা নিয়ে ভীতি জন্মানোর জন্যেও এই হামলা করা হতে পারে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের৷