Home - ইতিহাস - ক্ষুদিরামের আত্মত্যাগের ব্যাপারে কংগ্রেস নেতারা ছিলেন নির্লিপ্ত ও উদাসীন
১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসের কথা। ঠিক হলো মজঃফরপুরবাসীদের উদ্যোগে সেখানে হুতাত্মা ক্ষুদিরামের একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হবে।
আশা ছিল, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু।
আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন জওহরলাল নেহেরু। কারণ, দেশের মুক্তির জন্য ফাঁসিমঞ্চে প্রাণ দিলেও ক্ষুদিরাম কংগ্রেসের অহিংস নীতিতে আস্থাবান ছিলেন না। সুতরাং ক্ষুদিরামের জন্য কোনো অনুষ্ঠানে যােগ দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়।
এ প্রসঙ্গে প্রবীণ বিপ্লবী নায়ক শ্রদ্ধেয় প্রভাসচন্দ্র লাহিড়ী লিখেছেন:―
“…খাদি-কর্মীদের মধ্যে আমি প্রায় সকলেরই দেখেছি যে, অতীতের বিপ্লবী-যুগের স্বাধীনতা-সংগ্রামীদের সম্পর্কে একটা অহেতুক ঘৃণা ও বিদ্বেষ বা মানসিক তাচ্ছিল্যবােধ আছে। ভূতপূর্ব পরলােকগত প্রধানমন্ত্রী নেহরুজী, ডঃ প্রফুল্ল ঘােষ ও শ্রী প্রফুল্ল সেন এবং আরাে অনেক তথাকথিত গান্ধীবাদী নেতাদের মধ্যেই আমি এই মানসিক দৈন্যের ভাব লক্ষ্য করেছি।…
…তাঁরা প্রকাশ্য বক্তৃতায় ঐসব বিপ্লবী-যুগের স্বাধীনতা-সংগ্রামীদের সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত ভাষায় প্রশংসায় মুখর হলেও ব্যক্তিগতভাবে যখন তারা কথাবার্তা বলেন, তখন তাদের মনের আসল স্বরূপটি ফুটে বেরুতে আমি অনেকের মধ্যেই দেখেছি।…
…কার্যকালে নেতাজীর জনপ্রিয়তাকে কংগ্রেস নেতাদের অভীষ্ট সিদ্ধির কাজে লাগানাের জন্য প্রকাশ্য জনসভায় তাঁরা নেতাজীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় “পঞ্চমুখ” হন এবং তাদের ভাষণ শেষ করেন ‘জয় হিন্দ’ ধ্বনি দিয়ে, কিন্তু সেই ‘জয় হিন্দ’ ধ্বনির উদগাতা নেতাজীকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার স্বাধীনতা-সংগ্রামের স্বীকৃতি দিতে কার্পণ্য বােধ করেন।…”
তথ্যসূত্র:-
পাক-ভারতের রূপরেখা ও সাপ্তাহিক বসুমতী: ৩০শে নভেম্বর, ১৯৬৭ সাল
আমি সুভাষ বলছি, শৈলেশ দে