Home - News Report - মারধরের পর বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে খুনের অভিযোগ, অভিযুক্ত সিভিক সাদেক আলম
দ্যা বেঙ্গল ট্রিবিউন: মারধর করে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে এক বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চৈনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্তরা গ্ৰাম। এই ঘটনায় সাদেক আলম নামক এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ সংবাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগী বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সাদেক আলমকে বেধড়ক মারধর দিয়ে বিএসএফের (BSF) হাতে তুলে দেয় ক্ষিপ্ত জনতা।
উত্তরবঙ্গ সংবাদের রিপোর্টের সূত্রে আরও জানা যায়, মৃত যুবকের নাম প্রসেনজিৎ বর্মন (২৫)। তিনি নার্সিং-এর ছাত্র ছিলেন। সম্প্রতি ব্যাঙ্গালুরু থেকে বিএসসি নার্সিং কমপ্লিট করে উচ্চশিক্ষার জন্য এমএসসি নার্সিংয়ে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার দুপুরে তিনি সন্তরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন। সেইসময় অভিযুক্ত সাদেক আলম সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রে কর্তব্যরত ছিলেন। ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে সেখানে কিছু কথা কাটাকাটি হয়। তারপর প্রসেনজিৎ বাড়ি ফিরে যান। অভিযোগ, এরপর বিকেল চারটা নাগাদ বাড়ি থেকে ডেকে ভোটকেন্দ্রের অদূরে তাঁকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। পাশাপাশি হাতে দুটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। এরপর প্রসেনজিৎকে হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত যুবকের দাদা সঞ্জিত বর্মন বলেন, ‘আমার ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। আমি অভিযুক্তর শাস্তি চাই।‘ মৃতের স্ত্রী বলেন, ‘আমার সামনে সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে ইঞ্জেকশন দিয়ে খুন করেছে। আমার স্বামী বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্যই খুন করেছে অভিযুক্ত।’ পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আক্তার বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়।‘