Home - News Report - পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরে এলেন ১৪২ জন ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান
দ্যা বেঙ্গল ট্রিবিউন ডেস্ক: ভারতবর্ষে বিগত কয়েক দশকে খ্রিস্টান মিশনারী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনজাতির হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠেছে। এরই বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনজাতির হিন্দুদের পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে শুরু করা হয় ‘ঘর ওয়াপসি’ কার্যক্রম। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারী যথাক্রমে পশ্চিম কার্বি আংলং এবং মরিগাঁও জেলায় হিন্দু সুরক্ষা সমিতি এবং গোভা রাজ্যের রাজ পোরিয়াল (রাজ পরিবারের) উদ্যোগে দুটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে সনাতন ধর্মে পুনরায় ফিরে আসেন খ্রীষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে যাওয়া ১৪২ জন হিন্দু।
এছাড়াও মরিগাঁও জেলার জাগিরোডে, গোভা রাজ্যের রাজপরিবার (একটি তিওয়া রাজ্য যা স্বাধীনতার অনেক আগে থেকে প্রচলিত ছিল) আরেকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যেখানে ৪৩ জন তিওয়া খ্রিস্টানকে পুনরায় হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, পশ্চিম কার্বি আংলং-এর হামরেন সাব ডিভিশনের কয়বাত গ্রামে হিন্দু সুরক্ষা সমিতির উদ্যোগে, ঘর ওয়াপসি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল যেখানে ১১ টি তিওয়া পরিবারের ৭০ জন ব্যক্তি হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন।
হিন্দু সুরক্ষা সমিতি, আসাম ইউনিটের প্রধান সংগঠক নারায়ণ রাদু কাকোটি অভিযোগ করেছেন যে, আসামের সমতল ও পার্বত্য উভয় জেলায় বসবাসকারী দরিদ্র এবং নিরীহ আদিবাসীরা খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য খ্রিস্টান মিশনারিদের সহজ লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, “পার্বত্য জেলায় সমস্যাটি বেশ তীব্র। ১৯৫১ সাল থেকে, খ্রিস্টান মিশনারি এবং অন্যান্য খ্রিস্টান সংগঠনগুলি বিভিন্ন হিন্দু জনজাতিদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য একসাথে কাজ করছে। এখন অনেক জনজাতি তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে এবং তাদের নিজেদের মূল ধর্মীয় বিশ্বাসে তারা ফিরে আসতে চায়। আমরা তাদের আদি ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতি রক্ষা করতে চাই।”
তিনি আরও যোগ বলেন, কার্বি সমাজ (পশ্চিম কার্বি আংলং জেলার কার্বি আদিবাসীদের একটি আর্থ-সামাজিক সংস্থা) কয়বাত গ্রামের ঘর ওয়াপসি অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেছে যে ১০০ টিরও বেশি কার্বি খ্রিস্টান খুব শীঘ্রই তাদের জনজাতির আসল ধর্মীয় বিশ্বাস সনাতন ধর্মে ফিরে এসে নিজেদেরকে খ্রিস্টধর্ম থেকে পুনরুদ্ধার করবে।
“আমরা উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে বসবাসকারী জনজাতিদের একত্রিত করার চেষ্টা করছি। নিরপরাধ ও দরিদ্র জনজাতির মানুষকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করার জন্য খ্রিস্টান মিশনারিদের এই মন্দ পরিকল্পনা আমাদের নস্যাৎ করতে হবে। ১২ মার্চ ২০২৩ সালে, জনজাতি নিরাপত্তা মঞ্চের ব্যানারে, গুয়াহাটিতে একটি মেগা ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সমস্ত সিনিয়র নেতারা সমাবেশে ভাষণ দেবেন। উত্তর পূর্ব অঞ্চলের সমস্ত রাজ্যের জনজাতির লোকেরা এই বৈঠকে অংশ নেবে। ”
ইতিমধ্যে, হিন্দু সুরক্ষা সমিতি আসামের খ্রিস্টান জনজাতিদের তাদের মূল ধর্মীয় বিশ্বাসে হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনার মিশন সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা ২০২৫ সাল নির্ধারণ করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসে ছত্তিসগড় রাজ্যের ১১০০ জন পুনরায় হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। এছাড়াও যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে স্ব-ইচ্ছায় সনাতন ধর্মে ফিরে এসেছিলেন ১০০ জন ইসলাম ধর্মাবলম্বী।