Home - News Report - মন্দির চত্ত্বরে ‘আমিষ’ ডেলিভারি না করে বরখাস্ত, সম্মানিত করলো মন্দির
দ্যা বেঙ্গল ট্রিবিউন ডেস্ক: দিল্লির মারঘাট বাবা হনুমান মন্দির প্রাঙ্গনের মধ্যে আমিষ সরবরাহ করতে অস্বীকার করায় সুইগির (swiggy) এক ডেলিভারি বয়কে সম্মানিত করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
গত ৭ মার্চ, মঙ্গলবার, দিল্লির মারঘাট বাবা হনুমান মন্দির প্রাঙ্গনে একটি দোকানের মালিক একজন গ্রাহককে আমিষ খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করতে অস্বীকার করার পরে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সুইগির (swiggy) সেই এজেন্ট জানান যে, তিনি মন্দির চত্বরে আমিষ খাবারের অর্ডার পৌঁছে দেওয়ার মতো ‘অধার্মিক’ নন। তবে তার আইডি বন্ধ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সুইগি অ্যাপের প্রতিনিধিরা।
প্রতিবেদন অনুসারে , মন্দির কর্তৃপক্ষ শচীন পাঞ্চাল নামক এই সুইগি (swiggy) এজেন্টকে তার সিদ্ধান্তের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। ঘটনাটি ১ মার্চ শুরু হয়েছিল যখন মারঘাট বাবা হনুমান মন্দির চত্বরে ‘রাম কাচোরিওয়ালা’ নামক একটি দোকানের মালিক অভিষেক শর্মা সুইগি অ্যাপের মাধ্যমে একটি রেস্তোরাঁ থেকে মাটন কোর্মা এবং নান অর্ডার করেছিলেন। পাঞ্চাল এই বলে অর্ডার দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন যে, ডেলিভারির লোকেশনটি কাশ্মীরি গেটের মন্দির চত্বরের মধ্যে ছিল।
এই বিষয়ে, গ্রাহক দাবী করেন যে মন্দিরটি দোকান থেকে ১৫০ ধাপ দূরে ছিল এবং তিনি যে আমিষের অর্ডার দিয়েছিলেন তা নিয়মিতভাবে অ্যাপ থেকে তা সরবরাহ করা হয়। খাবার সরবরাহকারী তখন উত্তরে বলেন যে, “কিন্তু দোকানটি মন্দিরের চার দেয়ালের ভেতরে। আপনি প্রসাদ বিতরণ থেকে শুরু করে সবকিছু করেন। আর একই দোকানে মাংস আনা ঠিক হবে না, আমার মতে। মন্দির আছে বলে আমি আপনার অর্ডার আনতে পারছি না। আমি দুঃখিত।”
ঘটনার ভিডিওটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঞ্চাল প্রকাশ করে বলেন যে, রাম কাচোরিওয়ালা দোকানটি ভক্তদের প্রসাদ দেয় এবং মন্দিরের খুব কাছে অবস্থিত। “মন্দির এখান থেকে মাত্র কয়েক ধাপ দূরে। দোকানের মালিক মাটন কোর্মা এবং পনির নান অর্ডার করেছিলেন এবং আমাকে সেখানে সরবরাহ করতে বলেন।” এই ঘটনার পর থেকে, সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে #boycottswiggy ট্রেন্ড করছে। ভুক্তভোগী ডেলিভারি বয়কে চাকরি থেকে বহিষ্কার করায় সুইগি (swiggy) বয়কটের ডাক দিয়েছে নেটিজেনরা।