দ্যা বেঙ্গল ট্রিবিউন ডেস্ক: গত মঙ্গলবার এক কুখ্যাত বাংলাদেশী অপরাধী ও অনুপ্রবেশকারী পলাতক ‘মালী’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মাধ্যমে সাম্প্রতিক অতীতে দু’জন মহিলার নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং ডাকাতি সহ একাধিক অপরাধের রহস্য উন্মোচন হয়েছে। ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর দমদম নিবাসী ৬২ বছরের প্রৌঢ়া বয়সী মুনমুন পাল তার নিজ বাড়িতে খুন হন। তিনি তাঁর স্বামী অমল কৃষ্ণ পালের সাথে থাকতেন। অমল কৃষ্ণ পাল একজন অবসরপ্রাপ্ত আইআরএস অফিসার। দমদমের ছাতাকলের মরদেকাই লেনের বাড়ির বাগান সংলগ্ন গ্যারেজের ভিতরে মুনমুন পালকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এরপর এই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের সূত্রে পুলিশ জানতে পারে যে, খুনের কয়েক ঘন্টা আগেই এক ব্যক্তিকে বাগান পরিষ্কার করার কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি। বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সেই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে পুলিশ। এরই মধ্যে তদন্ত চলাকালীন গত ৪ ফেব্রুয়ারী বিরাটির শিবাচল এলাকায় একইভাবে খুন হন আরেক প্রৌঢ়া শর্বানী দাস (৭৩)। প্রতিবেশীদের সূত্রে পুলিশ জানতে পারে যে, শর্বানী দাসও খুন হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগেই একজন ব্যক্তিকে বাগান পরিষ্কারের কাজে নিয়োগ করেছিলেন।
এরপর খুনিকে গ্রেফতারের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে পুলিশ৷ দমদম, বিরাটি ও নিমতা এলাকায় বিস্তৃতভাবে তদন্ত চালায় পুলিশ। এক পর্যায়ে নিমতা এলাকা থেকে অভিযুক্ত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী রবিউল গাজীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের জেরায় সে জানায়, কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন অপরাধ করে সে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। পুলিশ জানায়, ধৃত রবিউল গাজী বাংলাদেশের খুলনা জেলার কাটিপাড়ার বাসিন্দা।
ভারতে অনুপ্রবেশের পর সে শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে একটি বস্তিতে আশ্রয় নেয়। জেরায় সে আরও জানায়, মালীর ছদ্মবেশে সে বৃদ্ধ বাসিন্দাদের বাড়িতে ঢুকতো। এরপর সুযোগ বুঝে তাদেরকে হত্যা করে মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে সে পালিয়ে যেতো। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসিপি (দক্ষিণ অঞ্চল) অজয় প্রসাদ বলেন, “সিভিক গার্ডরা ডোর টু ডোর সার্ভে করার জন্য নিযুক্ত ছিল। বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অবশেষে মঙ্গলবার ভোরে নিমতার শ্রীনগর আন্ডারপাসের একটি গোপন আস্তানা থেকে অভিযুক্ত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী রবিউল গাজীকে খুঁজে বের করা হয়েছে।”