Home - Crime - শিলিগুড়ি: ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হিন্দু নাবালিকা খুন, ধৃত আব্বাসের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিলো বজরং দল
দ্যা বেঙ্গল ট্রিবিউন: গত ২১শে আগস্ট আনুমানিক বিকেল তিনটে নাগাদ স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিলিগুড়ির পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রবীন্দ্রপল্লীর রাস্তাতে কাতর আর্তনাদ শুনতে পায় এক স্থানীয় ছাত্র। এসময় সে আশপাশের বাসিন্দাদের নিয়ে সেই আর্তনাদের উৎসস্থলের দিকে যায়৷ সেখানে যাওয়ার পর ব্যপক রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুল ড্রেস পরিহিত এক নাবালিকাকে পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে খুঁজে পাওয়ার পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভুক্তভোগী নাবালিকা মারা যায়।
ধৃত মোহাম্মদ আব্বাস।
এই ঘটনার ২৪ ঘন্টার মাথায় ঘাতক মোহাম্মদ আব্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ডিসিপি অভিষেক গুপ্ত জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথাবার্তা বলার পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীকে শনাক্ত করে পুলিশ। জেরায় মোহাম্মদ আব্বাস জানায়, ঘটনার দিন স্কুল থেকে ফেরার পথে সে ওই নাবালিকার পিছু নেয়। এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝে পথিমধ্যে তাকে অপহরণ করে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায় সে। সেখানে ভুক্তভোগী ওই হিন্দু নাবালিকাকে সে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ওই নাবালিকা তাকে প্রতিহত প্রাণপণে চেষ্টা করে। ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর এক পর্যায়ে ভারি পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে তাকে খুন করে মোহাম্মদ আব্বাস, এমনটাই পুলিশের জেরায় উঠে এসেছে।
এই ঘটনার পর থেকেই শিলিগুড়িতে ব্যপক জনরোষের সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। সেই জনরোষ থেকেই গত ২৩ আগস্ট বুধবার রাতে ধৃত মোহাম্মদ আব্বাসের বাড়িঘর ভেঙে তাতে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, স্থানীয় বজরং দলের কর্মীরা মাটিগাড়ার পালপাড়ার লেনিন কলোনিতে অবস্থিত আব্বাসের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় এলাকায় ব্যপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
গত বুধবার শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়ি মোড়ে মিছিল ও পথ অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিশ্বহিন্দু পরিষদের শাখা সংগঠন দুর্গা বাহিনী ও মাতৃশক্তি সম্মেলনের কর্মী সহ আরও বেশ কিছু হিন্দু সংগঠন। এই বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তরবঙ্গ প্রান্তের সম্পাদকসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই ধৃত মোহাম্মদ আব্বাসের ফাঁসির দাবি ও গতকালের ঘটনার প্রতিবাদে আজ শিলিগুড়িতে বনধের ডাক দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এই বনধে সাধারণ নাগরিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন জানায়, কারণ বনধের প্রভাবে শহরের দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা যায়।